চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলাধীন ঐতিহ্যঋদ্ধ পূর্ব সাতবাড়িয়া বেপারীপাড়া গ্রামের স্বনামধন্য বড়দা পরিবারের এবং রত্নাংকুর বৌদ্ধ বিহারের ধর্মপ্রাণ উপাসক ও অবসরপ্রাপ্ত বন্দর কর্মকর্তা প্রয়াত নিরোধ বরণ বড়ুয়ার সহধর্মিণী শ্রীমতী দেবী রাণী বড়ুয়া (প্রকাশ শিপ্রা’র মা) গত ৮ নভেম্বর সকাল ৭.৪৫ মিনিটে তার নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছে ৭৯ বছর । তিনি দুই পুত্র সমীরণ বড়ুয়া যীশু এবং কালা বাবু বড়ুয়া বিশু ও বড় মেয়ে শিপ্রা বড়ুয়ার গর্ভধারিণী মা এবং বৌ’মা নাতি-নাতনী রেখে যান ।
আজ ১০ নভেম্বর সোমবার দুপুরে তার সাপ্তাহিক ক্রিয়া অষ্টপরিস্কারসহ মহতি সংঘদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় নিজ বাড়ি চন্দনাইশের সাতবাড়ীয়া গ্রামে।
তার আত্মীয় পরিজন ও জ্ঞাতী স্বজন তাহার পারলৌকিক সদ্গতি সুখ শান্তি কামনায় পুণ্যদান করেন।
সংঘদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুচিয়া সুখানন্দ বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ও প্রয়াতার বড় ভাই ভারতীয় সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার মহামান্য চতুর্থ সংঘরাজ ভদন্ত রতনজ্যোতি মহাস্থবিরের প্রিয় শিষ্য ভদন্ত অতুলানন্দ মহাস্থবির।
প্রধান সদ্ধর্মদেশক ছিলেন চন্দনাইশ ভিক্ষু পরিষদের সহ-সভাপতি ও উত্তর হাসিমপুর বন বিহারের নবরুপকার অধ্যক্ষ ভদন্ত প্রজ্ঞানন্দ মহাস্থবির।
বিশেষ সদ্ধর্মদেশনা করেন সাতবাড়িয়া শান্তি বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত তিষ্যমিত্র ভিক্ষু।
সংঘদান অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন বেপারীপাড়া রত্নাংকুর বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত ধর্মানন্দ মহাস্থবির, আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ উন্নয়ন সংস্থা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট সংগঠক জে. বি. এস আনন্দবোধি স্থবির, জোয়ারা শ্রদ্ধানন্দ বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ বোধিপ্রিয় স্থবির, সাতবাড়িয়া শান্তি বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত তিষ্যমিত্র ভিক্ষু, প্রজ্ঞাজ্যোতি মহাস্থবির, অভয়মিত্র ভিক্ষু, পূর্ণরত্ন ভিক্ষুসহ আরো মহান পূজনীয় ভিক্ষু-শ্রামণ উপস্থিত ছিলেন।
সংঘদান অনুষ্ঠান শেষে মহান পূজনীয় ভিক্ষু – শ্রামণ সংঘসহ সকাল মধ্যাহ্নভোজন গ্রহণ করেন এবং প্রয়াতা দেবী রাণী বড়ুয়া’র পারলৌকিক সদ্গতি সুখ শান্তি কামনায় পুণ্যদান করেন।