ফটিকছড়ি উপজেলার জাহানপুর গ্রামের নোয়াগাজী তালুকদার বাড়ীর জেবল হোসেনের ছেলে মুহাম্মদ শাহাব উদ্দীন (৩৮) স্থানীয় এক সালিসি বৈঠকে হামলার শিকার হন।
মোঃ শাহাব উদ্দীন সাংবাদিকদের বলেন গত ২৩/০৭/২০২৫ ইং তাদের প্রতিবেশি মোছাঃ নার্গিস আক্তার নামক একজন মহিলাকে মুহাম্মদ দিদার ও মুহাম্মদ মহিউদ্দিন মারধর করার ফলে ০২/০৮/২০২৫ইং শনিবার সকাল ১১ ঘটিকায় স্থানীয় আমজাদ আলী জামে মসজিদের মাঠে সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ সালিশি বৈঠকের সিদ্ধান্ত হইলে উক্ত সালিশি বৈঠকে আমি একজন সমাজের প্রতিবেশী হিসেবে অন্যান্যদের মত উপস্থিত হই।
বৈঠক চলাকালীন সময়ে প্রায় শেষ পর্যায়ে আমি বৈঠক থেকে উঠে একটু পানি পান করতে বের হলে মুহাম্মদ ছগির, মুহাম্মদ দিদার সহ ৪/৫ জন হঠাৎ করে আমার উপর হামলা করে। মুহাম্মদ দিদার ও মুহাম্মদ মহি উদ্দীন আমার হাত পা ছেপে ধরে মারধর করতে থাকে একপর্যায়ে তারা দোকানের নাস্তা খাওয়ার কাটা চামচ দিয়ে আমার মুখমন্ডলে আঘাত করে। আমার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।
পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়, আমি প্রাথমিক চিকিৎসা করে ফটিকছড়ি থানায় হাজির হইয়া একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
এ-ব্যাপারে মোছাঃ নার্গিস আকতারের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়, তবে মোছাঃ নার্গিস আক্তারের দেবর মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল নোমান নার্গিস আকতারের উপর দিদার কর্তৃক মারধরের ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, দিদার তার ভাবি’ র পা ভেঙে দিয়েছে এখনো তার ভাবী খুব অসুস্থ আজকেও ঐ পা দেখানোর জন্য তার ভাবী ডাক্তারের কাছে গিয়েছে।
অন্যদিকে মুহাম্মদ দিদার তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আমি বিএনপির নেতা তাই আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।অভিযুক্ত মুহাম্মদ মহি উদ্দীনও এই ঘটনা মিথ্যা বলে দাবী করেন।
তবে এলাকার ইউপি-সদস্য স্থানীয় একটি ক্লাবের সভাপতি /সম্পাদক, ঘটনাস্থলের দোকানদার, সমাজ ও এলাকার একাধিক সাধারণ মানুষের সাক্ষাৎকারে উঠে আসে মারধরের ঘটনার সত্যতা।
তারা আরো বলেন নার্গিস আক্তার কে দিদার কর্তৃক মারধরের ঘটনায় সালিশি বৈঠক বসলে ওই বৈঠক বানচাল করার জন্য মুলত: দিদারের নেতৃত্বে ছগির মহি উদ্দীন সহ ৪/৫ জন মুহাম্মদ শাহাবুদ্দিনের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।পরে স্থানীয়রা শাহাব উদ্দীনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।